আগের বামফ্রন্ট বোর্ডের আমলে শুরু হওয়া কাজকর্মও থমকে গিয়েছে। কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়নের কাজ। কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ করার পরেও ঠিকাদারেরা বরাদ্দ অর্থ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের বোর্ডের হিসেব-নিকেশ স্পষ্ট নয়। ওই হিসেব পরিষ্কার না হলে ঠিকাদারদের বরাদ্দ অর্থ দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে বলে পুরসভার প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও পুর-চেয়ারম্যান ইন্দুভূষণ ভট্টাচার্য বলেন, “বকেয়া বরাদ্দ অর্ধেক দেওয়া হয়েছে। বাকিটাও শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে।”
রাস্তা-নিকাশি-বিদ্যুৎ— কোনও ক্ষেত্রেই নতুন কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি বলে বিরোধী সিপিএমের অভিযোগ। শুধু ২ নম্বর ওয়ার্ডেই ১৩টি টিউবওয়েল অনুমোদন করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ওয়ার্ডগুলিতে টিউবওয়েলের অনুমোদন দেওয়া নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু ২ নম্বর ওয়ার্ডেই কেন ১৩টি টিউবওয়েলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? জবাবে চেয়ারম্যানের মন্তব্য: “যা করা হয়েছে জনগণের স্বার্থেই হয়েছে।” পাশাপাশি, নোদাখালি থেকে আর্সেনিকমুক্ত জল সরবরাহ প্রকল্পও মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। তা ছাড়া পুরসভার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদও খালি রয়েছে। ওই পদেও কোনও নিয়োগ হয়নি। বৃহৎ আবাসনের নকশা ছাড়া ছোট বাড়ির কোনও নকশা অনুমোদন হচ্ছে না অভিযোগ উঠেছে।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিরোধী নেতা সিপিএমের কমল গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, “কোনও কিছুই নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে না। বস্তুত, কী ভাবে পুরসভা পরিচালনা করতে হবে তাই বোধ হয় কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পুরসভার পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।” তবে, ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় যে লাগবে তা স্বীকার করেন চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি: “আমরা সব কিছুই পরিকল্পনা করছি। উন্নয়নের কাজ সঠিক পথেই এগোচ্ছে।”
|
No comments:
Post a Comment