অনিল কুণ্ডু
সোনারপুর, ২৮শে মার্চ—মানুষের ওপর তৃণমূলীদের জুলুমবাজির তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শুনছেন সোনারপুরের বিধায়ক শ্যামল নস্কর। পঞ্চায়েত, পৌরসভায় তৃণূমলীরা ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মর্যাদা তো দূরের কথা দুর্ব্যবহারে মানুষের মনে জমে থাকা তৃণমূলীদের প্রতি ঘৃণা, ক্ষোভ জানাচ্ছেন খোলা মনে। বাড়ি বাড়ি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মানুষের এই অভিজ্ঞতার কথাই শুনছেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত সি পি আই (এম) প্রার্থী শ্যামল নস্কর। নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে তিনি বললেন, মনের কথা বলছেন মানুষজন। তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে হচ্ছে।
তৃণমূল পরিচালিত রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভায়, গ্রাম পঞ্চায়েতে পরিষেবা, কাজ নিয়ে তৃণমূলীদের সম্পর্কে বিস্তর অভিযোগ সাধারণ মানুষের। বেআইনী পুকুর ভরাট, মানুষের ওপর জুলুমবাজি চলছে। তৃণমূলীদের দুর্ব্যবহারে নীরবে চোখের জল ফেলে ঘরে ফিরে এসেছেন বহু মানুষ। তাই বন্ধুকে বুঝে গিয়েছেন এখানকার নাগরিকরা। প্রতিবাদে সোচ্চারও হয়েছেন ঐক্যবদ্ধভাবে।
গত পাঁচ বছর ধরে মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী শ্যামল নস্কর। মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ। সি পি আই (এম) সোনারপুর উত্তর জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামল নস্কর এবারও বামফ্রন্টের প্রার্থী। কলকাতার লাগোয়া সোনারপুরের ধারাবাহিক উন্নয়ন হয়েছে। রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি, ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মসূচী রূপায়ণের ফলেই সোনারপুরে দ্রুত জনবসতি বেড়েছে। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে সোনারপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আসনটি দু’টি বিধানসভায় ভাগ করা হয়েছে। রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ১-৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ২৭-৩৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা, খেয়াদহ ১,২, কামরাবাদ, বনহুগলী ১, ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে পুনর্বিন্যাসের ফলে সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র। ভোটর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৬ হাজার। গত পাঁচ বছর ধরে এলাকার বিধায়ক হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে আপনজন হয়ে উঠেছেন শ্যামল নস্কর। মানুষের আপদে-বিপদে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। বামফ্রন্ট কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। মানুষজনও তাঁদের মনের কথা বলছেন আপনজনের কাছে। বামফ্রন্টের কর্মী, সমর্থকরা লালঝাণ্ডা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মিছিল, বাড়ি বাড়ি প্রচারে নেমেছেন। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের লাগোয়া খেয়াদহ ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঢালুয়া, দাসপাড়া। প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছেন বামফ্রন্টের কর্মী, সমর্থকরা। সাধারণ মানুষজনও এগিয়ে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিলেন। প্রবীণ মানুষজনেরা আশীর্বাদ করলেন শ্যামল নস্করকে। মানুষের ভালোবাসা, শুভেচ্ছা নিয়েই নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন এক পাড়া থেকে আর এক পাড়ায়।
রাজ্যের ধারাবাহিক উন্নয়নের সাফল্য, শান্তি, সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কথা যেমন বামফ্রন্টের কর্মী, সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারে মানুষের কাছে তুলে ধরছেন তেমনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি কংগ্রেস, তৃণমূল জোট সরকারের নীতির কারণেই সে কথাও তুলে ধরা হচ্ছে প্রচারে। মানুষের অভিজ্ঞতাও তাই। মানুষজন বলছেন, বামপন্থীরা ইউ পি এ-১ সরকারের সমর্থনে যখন ছিলেন তখন কংগ্রেস পারেনি। আর এখন তৃণমূল কংগ্রেস। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। সচেতন মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়েই উপলব্ধি করছেন। আর তাই বামফ্রন্টকে জয়ী করার সংগ্রামে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। প্রবীণ মানুষজনদের সঙ্গে তরুণ যুবক, মহিলারা প্রচারে বেড়িয়েছেন বামফ্রন্ট প্রার্থী শ্যামল নস্করকে জয়ী করতে। খেয়াদহ, বনহুগলী, কামরাবাদ সর্বত্রই মানুষের ভিড়। জোরকদমে চলছে বামফ্রন্ট প্রার্থী শ্যামল নস্করের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার।
গণশক্তি, ২৯শে মার্চ, ২০১১
No comments:
Post a Comment